সমযোজী ব্যাসার্ধ (covalent radius) হলো একটি পরমাণুর নিউক্লিয়াস থেকে সর্বোচ্চ দূরত্ব যেখানে ইলেকট্রন থাকতে পারে যখন এটি অন্য পরমাণুর সাথে সমযোজী বন্ধন গঠন করে।
সমযোজী ব্যাসার্ধ হল একধরনের তড়িদাকর্ষণ বল যাতে হাইড্রোজেন পরমাণু ও অধিক তড়িৎ ঋণাত্মকতা বিশিষ্ট ছোট আকারের পরমাণু অংশ নেয় (যেমন – N, F, O)। ফলে H পরমাণুর ইলেকট্রন মেঘের ঘনত্ব অধিক হ্রাস পায়। এরুপ পোলার অণুসমূহের মধ্যে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক তড়িদাকর্ষণ বল সৃষ্টি হয়, তাকেই হাইড্রোজেন বন্ধন বলে। এটি DNA এ N2 বেসের মধ্যেও থাকে। পানি ও এই বন্ধন এ যুক্ত। এই বন্ধনই পানির উচ্চ স্ফুটনাংক এর জন্য দায়ী।
সমযোজী ব্যাসার্ধ পরমাণুর আকারের একটি পরিমাপ। এটি আংস্ট্রম (Å) এককে পরিমাপ করা হয়, যা 10^-10 মিটার এর সমতুল্য।
সমযোজী ব্যাসার্ধ নির্ভর করে:
- পরমাণুর পারমাণবিক সংখ্যা (atomic number): পারমাণবিক সংখ্যা যত বেশি হবে, সমযোজী ব্যাসার্ধ তত কম হবে। কারণ বেশি পারমাণবিক সংখ্যার অর্থ হলো নিউক্লিয়াসে বেশি প্রোটন থাকে, যা ইলেকট্রনগুলিকে আকর্ষণ করে এবং সেগুলিকে নিউক্লিয়াসের কাছাকাছি টেনে নিয়ে যায়।
- ইলেকট্রন বিন্যাস (electron configuration): ইলেকট্রন বিন্যাসের সর্বোচ্চ শক্তি স্তরের ইলেকট্রনগুলি নিউক্লিয়াস থেকে দূরে থাকে এবং সমযোজী ব্যাসার্ধ নির্ধারণে ভূমিকা পালন করে।
কিছু সাধারণ পরমাণুর সমযোজী ব্যাসার্ধ:
- হাইড্রোজেন: 0.52 Å
- কার্বন: 0.77 Å
- অক্সিজেন: 0.73 Å
- নাইট্রোজেন: 0.75 Å
- ফ্লোরিন: 0.64 Å
সমযোজী ব্যাসার্ধের ব্যবহার:
- রাসায়নিক বন্ধনের ধরন (type of chemical bond) নির্ধারণ করতে।
- অণুর আকার এবং আকৃতি (size and shape of molecules) অনুমান করতে।
- রাশায়নিক বিক্রিয়া (chemical reactions) বোঝার জন্য।
আশা করি এই তথ্যগুলি আপনার সমযোজী ব্যাসার্ধ সম্পর্কে ধারণা পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে।
আপনার কি সমযোজী ব্যাসার্ধ সম্পর্কে আরও কিছু জানার আছে?